ঢাকা , রবিবার, ১৮ মে ২০২৫ , ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০৫-১৭ ১৫:১৭:০১
কালীগঞ্জে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প কালীগঞ্জে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প

 


তৈয়বুর রহমান (কালীগঞ্জ) গাজীপুর

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগোরী ইউনিয়নের একটি ছোট্ট গ্রাম বিরতুল। গ্রামটি ছোট্ট হলেও দেশ-বিদেশে রয়েছে, এর সুখ্যাতি এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল হলেও এখানকার নারীরা প্রায় সবাই স্বাবলম্বী। তারা এখন আর স্বামীর সংসারে বোঝা নন।

 

কারণ তাদের হাতের ছোঁয়ায় বিরতুল গ্রামটিকে সবাই দোলনার গ্রাম হিসেবেই চেনে। বিরতুলের নারীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন সুযোগ আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে বদলে দেওয়া যায় যেকোনো গল্পের গতি।

 

জানা গেছে, বিরতুল গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বালু নদী। নদীর পাশে কৃষি নির্ভর বিরতুল গ্রামটি সবুজ-শ্যামলে ভরপূর। এখানে শত শত পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাঁশের ফ্রেমে হাতে বানানো দোলনা তৈরি করে আসছে।

 

দোলনা তৈরিতে উপকরণ হিসেবে মূলত বাঁশ, রঙিন সুতা, প্লাস্টিক চেইন ব্যবহার করা হয়। তবে কালের পরিক্রমায় এখন আর বাঁশ ব্যবহার করা হয় না। এটি শহুরে সৌখিন মানুষদের কাছে অতিরিক্ত চাহিদা থাকার কারণে বাঁশের বদলে এখন ব্যবহার করা হয় লোহার রড।

 

শুধু বিরতুল গ্রামই না পার্শ্ববর্তী ধনুন, বাগদী, বিন্দান ও সেনপাড়া গ্রামের নারীরাও এই দোলনা শিল্পে জড়িত পাঁচ গ্রামের প্রায় ৩শ পরিবারের নানা বয়সী সহ¯্রাধীক নারী দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।

 

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বিরতুল ও আশপাশের গ্রামের নারীদের তৈরি দোলনা রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন নামিদামি বিপনী-বিতানসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে সরবরাহ হয়। কেউ কেউ আবার বিদেশেও রফতানি করছেন।

 

দোলনা তৈরির নারী কারিগররা জানান, বিরতুল গ্রামের নারীরা এক সময় পরিবার চালানোর জন্য পুরোপুরি স্বামীর ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। কিন্তু এখন আর তাদের টাকার জন্য কারও কাছে হাত পাততে হয় না।

 

ওই গ্রামের উদোক্তারা জানান, দোলনার দাম কমে গেছে, বেড়েছে কাঁচামালের দাম। অভাব রয়েছে সরকারি সহায়তা বা প্রশিক্ষণের। সহজ শর্তে ঋণের সুযোগ নেই বলে অনেকেই বড় পরিসরে কাজ করতে পারছেন না।

 

উপজেলার নাগরী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ফারজানা তাসলিম বলেন, ইতিমধ্যে বিরতুল গ্রামের দোলনা তৈরির উদ্যোক্তারা বিভিন্ন নামে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করেছেন।

 

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ বলেন, বিরতুল গ্রামের দোলনা শিল্পীদের উৎসাহিত করার জন্য উপজেলা প্রশাসন সবসময় তাদের সহযোগীতায় ছিল সামনের দিনগুলোতেও থাকবে।

 

 

 

 

 


নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ